প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। দেশের মানুষ বর্তমানে যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই মাথা উঁচু করে চলতে পারছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি। দেশের উন্নতি কত দ্রুত করা যায়, সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৬ সালে। সে জন্য আমাদের আরও কঠোরভাবে পরিশ্রম করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও স্যাংশনের কারণে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতির উপর বড় চাপ পড়ছে। তারপরেও অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক গতিশীল। উন্নয়নের কর্মধারাও অব্যাহত আছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্যই এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। আমার সঙ্গে যেন মন্ত্রণালয়গুলোর যোগাযোগ থাকে, সে চিন্তা থেকে এ পদ্ধতি নেওয়া। আপনারা (সচিব) অনেক পরিশ্রম করছেন, তার ফল পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা আছে। দেশের জনসংখ্যাও অনেক বেশি। আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে গেলে অসাধ্য সাধন করা যায়। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১-এর মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। সে লক্ষ্যেই এখন এগিয়ে যেতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৮ সালে বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, তা করেছি। শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। উন্নয়নশীল দেশের বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থনীতির ওপর চাপ পড়েছে। তবুও অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর মঙ্গার চিত্র দেখা যায় না। যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করেছি। মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।