পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্কুল ফিডিং কর্মসূচিকে অনেক শক্তিশালী করবো। আমাদের এক-তৃতীয়াংশ উপজেলায় স্কুল ফিডিং নতুন আঙ্গিকে চালু করবো। এটি আরও পুষ্টিকর হবে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সঙ্গে সমঝোতা করে আমরা এ কাজটি করছি। আগামীতে সারাদেশে স্কুল ফিডিং চালু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালি সফর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ইতালির রাজধানী রোমে ইউনাইটেড নেশন ফুডসিস্টেম প্লাস-২ স্টক টেকিং মোমেন্ট (ইউএনএফএসএসপ্লাস২) সম্মেলনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি একসঙ্গে কাজটি করবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে স্কুলে আসার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের আগ্রহ আরও বাড়বে। ঝরে পড়ার সংখ্যাও কমবে। আমরা আশা করছি, এটি খুবই সফল হবে। এর আগেও স্কুল ফিডিংয়ে আমরা সফলতা অর্জন করেছি। আশাকরি, আগামীতে সারাদেশে স্কুল ফিডিং চালু করতে পারবো।
তিনি বলেন, সম্প্রতি তারা (ইতালি) আমাদের দেশ থেকে আরও অনেক জনবল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগে থেকেই আমাদের বহু লোক সে দেশে থাকে। যারা সেখানে অবৈধভাবে আছেন, তাদের বৈধ করতে অনুরোধ করবো। এসব বাংলাদেশিদের যেন অসুবিধা কম হয়, সে ব্যবস্থা করতেও তাদের বলবো। কারণ, সেখানে আমাদের বহু প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ইতালি যাচ্ছেন। ইতালিতে নতুন সরকার এসেছে। তারা খুবই শক্তিশালী সরকার।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এ ফোরামে যোগ দিতে ২৩ জুলাই রোমের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং কৃষি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, পরিকল্পনা ও অর্থবিষয়ক মন্ত্রী, খাদ্য উৎপাদক, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা অংশ নেবেন।
ড. মোমেন বলেন, ২৪ জুলাই খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদরদপ্তরে সম্মেলনের উদ্বোধনীতে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। ওইদিন ইউরোপের ১৫টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত ‘আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে’ তিনি অংশ নেবেন। ২৫ জুলাই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে।
তিনি বলেন, এ সফরে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ক দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। ২৬ জুলাই সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন উপস্থিত ছিলেন।