1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্র খুবই আগ্রহী বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের নৌ খাতের অগ্রগতি নিয়ে আশাবাদী। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতেও আগ্রহী।’
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে এসব তথ্য দেন তিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তিনি (পিটার হাস) তার প্রশংসা করেছেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন। দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি প্রশংসা করেছেন। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি কী!
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নৌ খাত ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। কারণ এর আগে ইউএস ট্রেডের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি দল ১৪ দিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিল। তখন অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ও ম্যারিটাইম নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসটিডিএ), এক্সিম ব্যাংক, তারা এখানে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বিশেষ করে, আমাদের যে ফায়ার ফাইটিংয়ের চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, পায়রা বন্দর নিয়ে তাদের বলেছি যে এটি নতুন একটি বন্দর। এখানে অনেক ধরনের সুযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করতে চাইলে সেটা তারা করতে পারবে। এ নিয়ে পায়রা বন্দরকে বলব। পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হবে, কী কী ধরনের সুযোগ আছে, তা তারা জানতে চাইবে। আর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় যে বন্যা ও দুর্যোগ হয়, এসব বিষয়ে তারা সহযোগিতা করতে পারে, আমরাও আগ্রহ প্রকাশ করেছি।
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বন্দর স্থাপনা নিরাপত্তা (আইএসপিএস) কোড আছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড এরই মধ্যে মংলা সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন ধরনের ড্রেজার সংগ্রহ করছি, তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত আছে। তাদের কাছ থেকেও সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অকল্পনীয়, তারা খুবই খুশি। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় তারা সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বিনিয়োগের প্রস্তাবের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা খুবই আগ্রহী। বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিবেশ, যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী আছে। যদি আমাদের কোনো প্রস্তাব থাকে, কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করা যাবে, সে বিষয়ে তিনি আমাদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন। কী ধরনের বিনিয়োগ তারা করতে পারেন, সে বিষয়ে জানতে আগ্রহী মার্কিন রাষ্ট্রদূত।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি