যেসব বিদেশি বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি দেয় তাদেরকে ‘আহাম্মক’ বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া সাংবাদিকদের কারণে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অতিরিক্ত সক্রিয় এবং তারা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বিষয়েও মাতব্বরি করেন বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘দেশ এগিয়ে চলছে’ প্রকাশনা উৎসব শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল বুধবার ১৩ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। ওই ১৩ জনের মধ্যে ইতালিও ছিল। ইতালি সফরে এই অসন্তোষ দেশটির কোনো পর্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা (মিডিয়া) সবসময় ময়লা খুঁজতে থাকেন। আপনাদের অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে, ভালো জিনিস দেখবেন। আপনাদের কারণেই বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা এক্সট্রা অ্যাকটিভ। রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বিষয়েও মাতব্বরি করেন। যেকোনো ভাবেই হোক এর একটি কালচার তৈরি হয়েছে অনেকদিন ধরে। এটি বন্ধ হওয়া উচিত। এখনই সময় এটি বন্ধ করার।
সব রাজনৈতিক দলও তো তাদের কাছে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ অনেকদিন ধরে এই কালচার তৈরি হয়েছে। আমরা কালচারটা বন্ধ করতে চাই।
ইতালিতে নতুন কর্মী নেওয়ার ক্ষত্রে কোনো সমঝোতার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা নতুন একটি প্রস্তাবনা আমাদের দিয়েছে। আমরা সেই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করছি। পরে এটা সই হবে দ্রুত। আমরা দুইটা এমওইউ সই করেছি সেখানে। তবে ওটা এখনও হয়নি। কারণ তা এখনো আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউরোপে আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতদের সবাইকে নিয়ে একটা গোলটেবিল বৈঠক করেছি। সেখানে আমরা বলেছি আমাদের দেশ সম্পর্কে অন্যদের জ্ঞান সীমিত। আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নির্বাচন প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রায় ১০টি ব্রিফ তৈরি করেছি। এমনকি এই আগুনসন্ত্রাস নিয়ে বই তেরি করেছি। আমরা বলেছি আপনারা এসব নিয়ে ওদের (বিভিন্ন দেশের) সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাদের জানাবেন এগুলোর কী অবস্থা, তাতে তারা আহাম্মকের মতো হঠাৎ করে একটা স্টেটমেন্ট দেবে না।
কেউ একজন গিয়ে তাকে ধরলো আর তিনি না জেনে একটা বক্তব্য দিয়ে দিলেন। কখনো কখনো কেউ তার ফান্ডে পয়সা দিলেন, তারপক্ষে বলে ফেললেন। আমরা বলেছি এজন্য আপনাদের একটা বড় দায়িত্ব আপনারা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের বড় বড় ইস্যু সম্পর্কে তাদের জানাবেন। তাহলে এ ব্যাপারে তাদের জ্ঞান বাড়বে, যোগ করেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।