বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেছেন, চামড়া বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত। আমাদের কাঁচামাল ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বিভিন্ন দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আমাদের সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর বেশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল, ফুটওয়্যার এবং প্লাষ্টিক খাতের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ইসিফোরজে নামক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাণিজ্যসচিব বলেন, এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এ সকল সেক্টরে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং রপ্তানি বাড়বে।
বাণিজ্যসচিব আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় হোটেল ৭১ এ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব্স(ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের জন্য অনুষ্ঠিত “লিংকেজ ওয়ার্কশপ অন লেদার সেক্টর” শীর্ষক ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এ সব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হচ্ছে। এর ফলে, বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, এ জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। রপ্তানি বাণিজ্যে দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিষেশ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচাল মো. হাফিজুর রহমান। বিষয়ের উপর কী-নোট উপস্থাপন করেন মো. মমিনুল আহসান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফিনিস লেদার, লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং বিজনেস প্রোমশন কাউন্সিলের সমন্বয়ক মো. আব্দুর রহিম।