গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে একদমই সাবলীল ব্যাটিং করতে পারছেন না লিটন দাস। সবশেষ ১৮ ওভারের ম্যাচে করেছিলেন ২১ বলে ২০ রান। গতকাল আসরে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে আরও কমল তার স্ট্রাইক রেট। ৩০ বলে ২৫ রান করে আউট হয়েছেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। তবে তার মন্থর ইনিংসের কারণে অবশ্য হারেনি দল। আর গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে এটাই লিটনের সেরা ইনিংস।
মিসিসাউগা প্যান্থারসের বিপক্ষে ৫৫ রানে জিতেছে লিটনের সারে জাগুয়ার্সে। এই নিয়ে আসরে টানা দুই ম্যাচে জিতেছে লাল-সবুজের এই প্রতিনিধির দল। ৪ ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে তারা।
ব্র্যাম্পটনে টস জিতে সারে জাগুয়ার্সকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মিসিসাগা প্যান্থার্স। ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন যতীন্দ্র সিং ও অ্যালেক্স হেলস। পাওয়ার প্লের শেষ দিকে ভাঙে তাদের ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি। ২১ বলে ৩৯ রানে বিদায় নেন হেলস।
এরপর ক্রিজে আসেন দলটির সহ-অধিনায়ক লিটন। ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে বেশ সংগ্রামই করতে হয়েছে বাংলাদেশি এই ক্রিকেটারকে। ইনিংসের শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিংটা করতে পারেননি লিটন।
অন্যপ্রান্ত সাবধানী মেজাজে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন প্রান্তে যতীন্দ্র। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার মিলে ৭৪ রানের অনবদ্য এক পার্টনারশিপ গড়েন। এই জুটির অবদানই শেষ পর্যন্ত দলের বড় জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
এক চার ও এক ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন। লাল-সবুজের এই প্রতিনিধির বিদায়ের খানিক পরেই বিদায় নেন যতীন্দ্রও। ৪৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে লিটনদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৪ রান।
জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মিসিসাগা। দলের হয়ে দুই অঙ্কের রানের দেখা মাত্র ৩ ব্যাটার। ক্যামেরন ডেলপোর্টের ২১ বলে ৩৩, শেয়াস মোভার ৩১ বলে ৩১ ও আজম খানের ১১ বলে ১৪ রান ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ১৭ ওভারে ১০৯ রানেই গুঁটিয়ে যায় তারা। ফলে ৫৫ রানের বিশাল জয় পায় লিটনের দল।
লিটনদের হয়ে স্পেন্সার জনসন ও সন্দীপ লামিচানে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।