1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন

অবশেষে মুম্বাই ছেড়ে প্রাণে বাঁচলেন কঙ্গনা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বিনোদন ডেস্ক : রানী বলা হয় কঙ্গনা রানাউতকে। অন্যকে কটাক্ষ করতে বা অপমানের ক্ষেত্রে জুড়ি নেই এই অভিনেত্রীর। প্রতিবাদী সাজতে গিয়ে প্রায়ই বেফাঁস কথা বলে বসেন। তবে এর মূল্য যে এত চড়া দামে দিতে হবে তা হয়তো ভাবতেও পারেননি ‘বিজেপি’র তারকা বলে খ্যাত কঙ্গনা।
সম্প্রতি মুম্বাইকে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর আর মুম্বাই পুলিশকে সম্রাট বাবরের মতো বর্বর বলে মন্তব্য করেন মহেশ ভাটের হাত ধরে সিনেমায় আসা এ অভিনেত্রী। এরপর থেকেই মুম্বাইয়ের অধিবাসী, এখান রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও শিবসেনার রোষানলে পড়েন তিনি। তাকে হুমকিও দেয়া হয় আর কখনোই মুম্বাইয়ে আসতে দেয়া হবে না বলে।
সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন কঙ্গনা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আবেদন করে পাওয়া নিরাপত্তায় বেষ্টিত হয়ে। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হলো না। তার ছবিতে আগুন দিয়েছে মুম্বাইয়ের মানুষ, মেরেছে জুতা। তার অফিস অবৈধ দাবি করে সেটি ভাঙচুর করেছে মুম্বাইয়ের পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এমন উত্তেজনার মধ্যে কঙ্গনা মুম্বাইয়ের মেয়রসহ বেশ ক’জন প্রভাবশালীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
তবে পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে মুম্বাই ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিনি। আর মুম্বাই ছেড়ে চণ্ডীগড় পৌঁছেই রণংদেহি মেজাজে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘মুম্বাই আমার কাছে একটা সময়ে মায়ের আঁচলের মতো ছিল। আর আজ নিজের প্রাণ হাতে করে ফিরতে হল ওখান থেকে। এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘শিবসেনা এখনা সোনিয়া (সোনিয়া গান্ধী) সেনাতে পরিণত হয়েছে। তারা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে প্রশাসনে।’
প্রসঙ্গত, মাঝের কয়েকটা দিন কঙ্গনাকে যে রাজনৈতিক মহল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে, তার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। শিবসেনার সঙ্গে কঙ্গনার সংঘাত, বিজেপির সমর্থন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে নজিরবিহীনভাবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে তোপ, সবমিলিয়ে ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’ বর্তমানেও লাগাতার শিরোনামে।
এবার মুম্বাই ছেড়েই তিনি তোপ দাগলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসনকে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি