সোমবার ৩১ জুলাই, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে গোপন বৈঠক করছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৩১ জনসহ ৩৪ শিক্ষার্থী। এ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটকের পর পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, আজ সকাল ৭টায় উপজেলা বাজারের নৌকাঘাট থেকে একটি নৌকায় করে বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থী টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যান। পরে হাওরে ঘোরার পর একই দিন দুপুরে পাটলাই নদী দিয়ে ট্যাকেরঘাট পর্যটন এলাকায় যাচ্ছিল। এ সময় নতুন-বাজারের সামনে নৌকাটি আসলে পুলিশের দুটি স্পিডবোট সেটি থামিয়ে চালক আহাদুল মিয়া, মুহাদ্দিস মিয়াসহ বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থীকে আটক করে তাহিরপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাহিরপুর থানা উত্তর ইউনিয়নে দুধের আউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাটলাই নদীর পাড়ে জৈনক শহিদুলের নৌকা থেকে বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত এবং বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর বিভিন্ন ধারায় এস আই রাশেদুল কবির বাদী হয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটানো, জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্র এবং ধর্মীয় জিহাদ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিগনদের আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সাইদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত করে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।