কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্কুলছাত্রী জিনিয়া খাতুনের জানাজায় গিয়ে মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদের করা মামলায় তিন জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। সোমবার সকালে ৬ জন আসামি কুমারখালী আমলি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্থন করে জামিন প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তারা হলেন কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (৪০), গাজীর উদ্দিন (৫৩) ও মো. জাবেদ আলী (৪০)।
সংশ্লিষ্ট আদালতের জিআরও সুমন সরদার তিন জনের জামিন নামঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট সুলতানপুর মাহতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাদের সিঁড়ি ঘরে উঠে পাঁচ ছাত্রী ধুমপান করে। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষকরা তাদের ডেকে এনে ভিডিও ধারণ করেন এবং অভিভাবকদের জানানো, অনলাইনে ছড়ানো ও টিসি দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে দুই ছাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাদের জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও জিনিয়া খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। তিনি সুলতানপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুরে জানাজায় যান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ। সেসময় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধান শিক্ষককে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে সাত জনের নামে থানায় মামলা করেন প্রধান শিক্ষক। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ২০ জনকে। এর আগে গত বুধবার তিনজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলা করেন নিহত ছাত্রীর মা শান্তা খাতুন।