রাজধানীর চারটি বৃহৎ সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৯৫৬টি শয্যা ফাঁকা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, রাজধানীসহ সারা দেশেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে। যার ফলে হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ কমে এসেছে।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে দেশের চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার কিছু হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকলেও অনেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর শয্যা এখনো ফাঁকা আছে। বিশেষ করে ডিএনসিসি হসপিটাল, মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হসপিটাল। এ হাসপাতালগুলোতে এখনো ৯৫৬টি ডেঙ্গুর শয্যা ফাঁকা রয়েছে।
ডা. মো. হাবিবুল আহসান বলেন, সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। অধিদপ্তরে এনএস-১ পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট মজুদ আছে। পাশাপাশি আমরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি, যাতে করে তারা দ্রুততম সময়ে নিজেদের চাহিদা মতো কিট কিনে নিতে পারে।
স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে খবর পেয়েছি- বাজারে আইভি ফ্লুইডের (স্যালাইন) সংকট রয়েছে। তবে এ সংকটটা আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই, বেসরকারি হাসপাতাল যেগুলো রয়েছে তারা হয়তো বাজারের ফার্মেসিতে গিয়ে ঠিকমতো স্যালাইন পাচ্ছে না। কিছু জায়গা থেকে এ ধরনের রিপোর্ট এসেছে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ আগস্ট মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে আমাদের একটা মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে আমরা বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা ও পর্যালোচনা করে সংকটের বিষয়টি দেখেছি।
অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, যেহেতু কিছু আইভি ফ্লুইডের সংকট আছে, মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্রুততম সময়ে আইবি ফ্লুইড আমদানি করার। এ বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ বিষয়ে ইডিসিএলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেবেন। যদি আমরা এটি আমদানি করতে পারি তাহলে বাজারে যে সংকট আছে, সেটি আর থাকবে না।