কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদী পাড়ে প্রায় ৩ একর জায়গায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কয়া ইউনিয়নের কয়া ইকোপার্ক এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আমিরুল আরাফাত।
অভিযান চলাকালে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ঘর, দোকানপাট, বাঁশের বেড়াসহ সকল প্রকার স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।
এ উচ্ছেদ অভিযানে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন, ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন, সার্ভেয়ার রেজা ও কুমারখালী থানার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন মাস ধরে রাজা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ইকোপার্ক সংলগ্ন গড়াই নদীর পাড়ে বসতঘর ও দোকান তৈরির জন্য প্রায় ১০ থেকে ১২ জনকে অবৈধভাবে জমি বরাদ্দ দেন।
এ ছাড়া কয়েকজন তার কাছ থেকে জমি বরাদ্দ নিয়ে সেখানে গোবাদিপশুর জন্য ঘাসও চাষ করছেন। খবর পেয়ে দুপুর একটার দিকে উচ্ছেদ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
জমি বরাদ্দ নেওয়াদের মধ্যে একজন রাজিদা খাতুন বলেন, তার বাড়িতে গরুর খামার আছে। তিনি রাজার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে নদীর জমি বরাদ্দ নিয়েছেন। সেখানে তিনি ঘাস চাষ করছেন।
কয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন জানান, তার অগোচরে নদী পাড়ের জমি দখল করে ঘরবাড়ি, দোকানপাট করা হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে প্রসাশন এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আমিরুল আরাফাত বলেন, গড়াই নদীর জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগের ভিত্তিতে নদীর জায়গা রক্ষায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ১০ -১২ টি বসতঘর ও ৮ -১০ টি দোকানপাট ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তিতে আর কেউ যেন কোনো স্থাপনাদি না তৈরি করে, সেজন্য কঠোর সতর্ক করা হয়েছে। কেউ অর্থ লেনদেন করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।