কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তেঘরিয়ায় চলাচলের একটি মাত্র রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের ৭-৮টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে বর্ষা মৌসুমে প্রায় সব সময় পানি জমে থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের নালার ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়। ফলে কাদাপানি জমে রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী, পথচারীরা এমনকি মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ যানবাহনকে অনেক ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ওই রাস্তায় প্রায় এক ফুট পানি জমে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুলের পাশের রাস্তায় প্রায় এক ফুট পানি জমে যাচ্ছে। গত দুই তিন বছর ধরে এই বেহাল দশা চলে এলেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
অথচও আশপাশের ৭-৮টি গ্রামের লোকজনদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তা নিচু হওয়ায় সব সময় এখানে পানি জমে থাকে। ভারী বর্ষায় আরও পানি জমে বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হয়। তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রায়হান জানান, বিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন পানিতে পা ভিজিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়।
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীই বিদ্যালয়ে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তিনি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান। পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আলমগীর হোসেন জানান, সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। এর আগে পরিষদ থেকে ফান্ড নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল।
কিন্তু রাস্তার দুই পাশের বাসিন্দারা বালি ও মাটি ফেলে রাস্তার পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়ায় আবারও নতুন করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, খোঁজখবর নিয়ে খুব দ্রুত রাস্তাটির জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।