ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় যুক্তরাজ্য ।রবিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সিইসি কাজী হাবিবুর আউয়াল এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বলেছি- আমরা ট্রান্সপারেন্সিতে খুব জোর দিয়ে থাকব। অবজারভার ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা কামনা করব।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় ও আলাপচারিতার মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। জানতে চেয়েছিলেন- আমাদের প্রস্তুতি কেমন। তবে, উনি আশাবাদী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক হবে। উনি অতিরিক্ত যেটা বলেছেন নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। আমরাও আমাদের তরফ থেকে তা জানাতে পেরেছি।
সিইসি কাজী হাবিবুর আউয়াল বলেন, মোটরসাইকেল ব্যবহারের বিষয়ে দাবি তুলেছে গণমাধ্যম। আমরা বলেছি- একটা কারণে এটা বাদ দিয়েছিলাম তা হলো এটার অপব্যবহার হবে কি না। যারা মাসলম্যান তারা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে কোন ধরনের সংকট সৃষ্টি করবে কি না? সেটা মাথায় রেখে একটা বিধান আমরা করেছিলাম।
গণমাধ্যমের দাবির যৌক্তিকতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটরসাইকেল তাদের পক্ষে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড কাভার করা কষ্টসাধ্য হতে পারে। তাই এটা আন্ডাররিভিউ করছি, এটা পরিবর্তন করবো। আর উনি আশা করেছেন- নির্বাচন যেন পার্টিসিপেন্ড ও ক্রেডিবিলিটি হয়। আমরা বলেছি- নির্বাচন অবাধ করতে পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।