কিক অফের ১৫ মিনিটের মধ্যে ২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধের ৪০ মিনিটের মধ্যে আবার তা শোধ করে সমতায় ফিরে ভিলারিয়াল। বিরতির পর আবার তারা এগিয়েও যায়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বার্সা। ৭ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে তারা পেয়েছে শ্বাসরুদ্ধকর জয়।
ভিলারিয়ালের মাঠে রবিবার লা লিগার ম্যাচে ৪-৩ গোলে জিতেছে কাতালান ক্লাবটি। খেলার ১২ মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে দেন গাভি। তিন মিনিট পর ফ্রেঙ্কি দে জং গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
তবে সেই এগিয়ে থাকা দীর্ঘস্থায়ী হয় বার্সার। ২৬ মিনিটে হুয়ান ফয়থ ও ৪০ মিনিটে আলেকজান্ডার সরলথ গোল করে সমতায় ফেরান দলকে। সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
তবে বিরতি থেকেই ফিরেই এগিয়ে যায় ভিলারিয়াল। ৫০ মিনিটে আলেক্স বায়েনার গোলে এক পর্যায়ে ৩-২ গোলের লিড পায় তারা। তাতে জয়ের স্বপ্ন বুনতেও শুরু করেছিলেন অনেকে। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার আগে যে কিছুই বলা যায় না! আর দলটার নাম যখন বার্সেলোনা, তখন তো বিস্ময়ের কিছু থাকাটাই স্বাভাবিক।
চ্যাম্পিয়নেরা হারার আগে কখনও হারে না। সেটাই আরও একবার বুঝিয়ে দিয়ে গেল বার্সা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে তারা সমতায় ফিরে। ভিলারিয়ালের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করা বার্সেলোনা সমতা ফেরায় ৬৮তম মিনিটে। একটু আগে বদলি নামা ফেরান তরেসের বাম পায়ের শট ব্লকড হয়। ফিরতি বলে ডান পায়ের শট জড়ায় জালে। কাদিসের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও জালের দেখা পেয়েছিলেন এই স্প্যানিশ উইঙ্গার।
চার মিনিট পর এগিয়েও যায় বার্সেলোনা। ইয়ামালের শট গোলরক্ষরের গ্লাভস ছুঁয়ে পোস্টে লাগলে পেয়ে যান অরক্ষিত লেভানদোভস্কি। ফাঁকা জালে অনায়াসেই বল পাঠান তিনি। চলতি আসরে এটাই পোলিশ স্ট্রাইকারের প্রথম গোল।
৩ ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে দুই নম্বরে আছে জিরোনা। টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।