জামালপুরের তিনটি পৌরসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। সকাল থেকে শাšিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চললেও জামালপুর পৌরসভার একটি কেন্দ্রে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এদিকে ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী।
পঞ্চম দফায় জেলার জামালপুর, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বেশ উৎসাহ নিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন এসব পৌরসভার ভোটাররা। রবিবার সকাল থেকে জামালপুর, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ এই তিনটি পৌরসভায় শান্তিপুর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে দুপুরের দিকে জামালপুর পৌরসভার সিংহজানী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার আহবান জানায় অপরপক্ষ। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে লাঠিলার্জ করে।
এদিকে জামালপুর পৌর নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। দুপুরে শহরের সরদার পাড়া এলাকায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। তিনি আরোও বলেন, এই কলঙ্কময় নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পুনরায় পৌর নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।