1. admin@jatioarthonitee.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কসবায় পৌর অটোরিকশা ট্যাক্স বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল কসবায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আখাউড়ায় ২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

সুইস ব্যাংকে কার কত টাকা আছে জানতে যায় হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের কতজনের কত টাকা আছে তার তালিকা চেয়েছে হাই কোর্ট ।সেসঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
বিদেশি ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে ১ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান নিজেই শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
বিদেশি ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিক অথবা কোম্পানি এবং অন্য কোনো সত্ত্বার গোপনে গচ্ছিত টাকা উদ্ধারে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
পানামা পেপার ও প্যারাডাইস পেপারে বাংলাদেশি যেসব নাগরিক ও কোম্পানির নাম এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সে তদন্তের অগ্রগতি প্রতি মাসে আদালতকে জানাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সে সঙ্গে বাংলাদেশি কোনো নাগরিক অথবা কোম্পানি বা অন্য কোনো সত্ত্বার অর্থপাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের বিষয় নিরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

অর্থ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও পুলিশ প্রধানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ৩০ মার্চ পরবর্তী শুনানি ও আদেশের তারিখ রেখেছে আদালত।
রোববার শুনানিতে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আলোচিত পানামা ও প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ পর্যন্ত যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মুসা বিন শমসের।
সুইস ব্যাংক থেকে টাকা আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিএফআইইউ সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, “গত বছর ২২ নভেম্বর অর্থপাচারকারী, দুর্বৃত্তদের বিষয়ে আদালত যে স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেছিল এ রিট আবেদনে একই ধরনের আরজি জানানো হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে রুল জারির বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত রুল জারি করেছেন। তবে স্বপ্রণোদিত রুল ও আজকে জারি করা রুলের শুনানি একসাথে হবে। ৩০ মার্চ আদেশের জন্য ধার‌্য করা হয়েছে।”
কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারকারীদের নাম, ঠিকানাসহ অর্থ পাচারের যাবতীয় তথ্য জানতে চাওয়ার ধারাবাহিকতায় গত বছর ২১ ডিসেম্বর আদালত আরেকটি আদেশ দেয়।
অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মাধ্যমে যারা বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছে অথবা কিনেছে, সেই বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট আছে এবং যারা দেশের বিমানবন্দরগুলো দিয়ে দেশে-বিদেশে নির্বঘ্নে আসা-যাওয়া করছে, তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল সে আদেশে।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুলিশের বিশেষ শাখার সুপারকে (ইমিগ্রেশন) এ তালিকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, “দ্বৈত নাগরিকের তালিকা দেওয়ার বিষয়ে আমরা সময় চেয়েছিলাম। তবে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি তা হচ্ছে, কমবেশি মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজারের মত দ্বৈত নাগরিক আছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাসপোর্ট জমা দিয়ে তারা ঘোষণা দিয়েছেন। সে তালিকা এখনও আমরা হাতে পাইনি। অনেক বড় ব্যপার তৈরি করতে হচ্ছে। সবগুলো মিলিয়ে ৩০ মার্চ শুনানি হবে।”
গত বছর ১৮ নভেম্বর ডিআরইউর মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের সত্যতা পাওয়ার কথা জানান।
প্রাথমিকভাবে অর্থপাচারে জড়িত যাদের তথ্য পাওয়া গেছে তার মধ্যে সরকারি কর্মচারীই বেশি বলে জানান তিনি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি