ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আজ সকাল ৬টায় যান চলাচল শুরু হয়েছে। উড়ালসড়কে বিমানবন্দর – ফার্মগেট পর্যন্ত যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ২২.৫ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেন।
এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট। আগে এই রাস্তা ভ্রমণে সময় লাগতো এক ঘণ্টা বা তারচেয়েও বেশি।
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ভ্রমণের জন্য বিমানবন্দরের টোল প্লাজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টোল পরিশোধ করেন।
যানবাহনের ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করে সরকার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত টোল নির্ধারণ করেছে।
এদিকে, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের নির্দেশাবলী প্রকাশ করে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ২ এবং ৩ চাকার যানবাহন এবং পথচারীরা হেঁটে চলাচল করতে পারবেন না।
এছাড়া, এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিমি এবং উঠানামার র্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিমি নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১১ সালে ৪৬.৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করে সরকার। এই এক্সপ্রেসওয়ের মূল রুটের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার এবং র্যাম্প ও কানেক্টিং লিঙ্কের দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার।