ইন্টার মিয়ামির হয়ে টানা ফুটবল খেলে ক্লান্ত লিওনেল মেসি। ন্যাশভিলের বিপক্ষে মেজর লিগ সকার, এমএলএসের সবশেষ ম্যাচে শুরুর একাদশেই ছিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এছাড়া চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ছয় দিনের ব্যবধানে জাতীয় দলের হয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ খেলবেন মেসি। সব মিলিয়ে গুঞ্জন ছিল, আন্তর্জাতিক বিরতির আগে মিয়ামির জার্সিতে মাঠে নামবেন না মেসি। যদিও এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে আজও খেলেছে লা পুলগা। এবং তার জোড়া এসিস্টে এমএলএস চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলেসকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মিয়ামি।
মেজর লিগ সকারের প্লে-অফে যেতে হলে এখন প্রতিটি ম্যাচই ইন্টার মিয়ামির জন্য বলতে গেলে নকআউট। সেই চাপ নিয়ে মাঠে নামা মেসির মিয়ামি ম্যাচের ১৪তম মিনিটে ফাকুন্দো ফারিয়াসের দুর্দান্ত এক গোলে গোলে এগিয়ে যায়। এরপর অবশ্য একাধিক সহজ সুযোগ হাতছাড়াও করে লস অ্যাঞ্জেলেস। এমনকি মিয়ামি গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন দলটি। প্রথমার্ধে বাকি সময় আর গোলের দেখা না হলে ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মেসির দল
বিরতি থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধেও আরও আগ্রসী খেলতে থাকে মিয়ামি। তার সফলও পেয়ে যায় দলটি। ম্যাচের ৫১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণভাবে মেসি বল বাড়ান জর্দি আলবার উদ্দেশে। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই স্প্যানিশ তারকা। এদিকে পিছিয়ে পড়েও অবশ্য হাল ছাড়েনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চেষ্টা করে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচে ফেরার।
কিন্তু কখনো নিজেদের ভুলে আবার কখনো গোলরক্ষকের সেভে গোল পাওয়া হচ্ছিল না তাদের। উল্টো ৮৩ মিনিটে আবারও মেসির ঝলক। বল পেয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে নিজে শট নেওয়ার জায়গা না পেয়ে বাড়িয়ে দেন সতীর্থ কাম্পানাকে। দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করে দলের হয়ে ব্যবধান ৩-০ করেন কাম্পানা।
এরপর অন্তিম মুহূর্তে লস অ্যাঞ্জেলেসের হয়ে রায়ান হোলিংশেড এক গোল করে ব্যবধান কমালেও তা শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে। ম্যাচের বাকি সময় দুই দলের কেউ আর গোলের দেখা না পেলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসির মিয়ামি। এদিকে এই ম্যাচ শেষে ২৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের পয়েন্ট টেবিলের ১৪ নম্বরেই থাকল ইন্টার মায়ামি। ২২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের নিচে আছে কেবল টরোন্টো।