ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। বার্মিংহামে স্বাগতিকদের ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টিম সাউদির দল। এরপরও অবশ্য চার ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। তবে ফিন অ্যালেনের অসাধারণ ইনিংসের বদলতে পাওয়া জয়ে সিরিজে টিকে আছে তারা।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ২০২ রানের বড় সংগ্রহ। যা ইংলিশদের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে কিউইদের দলীয় সর্বোচ্চ। তারপর বল হাতে তোপ দেখিয়েছেন কাইল জেমিসন। তার সঙ্গে যুক্ত হন ইস সোধি–সাউদিরাও ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৮ রানে। ফলে ৭৪ রানের বড় জয় পায় কিউইরা।
ইনিংসের শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন অ্যালেন। যদিও তাকে বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে। ৭ বলে ৯ রান করে রানআউট হন তিনি। তিনে নামা টিম সেইফার্ট ১৭ বলে ১৯ রান করে স্টাম্পিং হন।
অ্যালেনের সৌজন্যে তখন কিউইদের রান ছিল দুই উইকেটে ৭৫। তারপর ৮৮ রানের জুটি গড়েন অ্যালেন এবং গ্লেন ফিলিপস। দলীয় ১৬৩ রানে অ্যালেন যখন বিদায় নেন তখন কিউইদের রান ১৬৩। লুক উডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫৩ বলে চারটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৮৩ রান করেন অ্যালেন।
১৯তম ওভারে ফিরে যাওয়ার আগে ফিলিপস করেন ৩৪ বলে পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৯ রান। তাকে বোল্ড করেন গাস অ্যাটকিনসান। ইংলিশদের হয়ে ৩১ রানে দুই উইকেট নেন এই পেসার।
ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার একাই একটু লড়েছেন। ২১ বলে ৪০ রান করে মিচেল সান্টনারের বলে তিনি কট এন্ড বোল্ড হতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে যায় স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন আপ। ১৬ বলে ২৬ রান করে মঈন আলী ইতিবাচক কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন।
যদিও জেমিসনের শিকার হয়ে বিদায় নেন তিনি। কিউইদের গোছানো বোলিংয়ের সামনে কোনও উপায়ই বের করতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। ২৩ রান খরচায় তিন উইকেট নেন জেমিসন। সোধিও সমান সংখ্যক উইকেট নেন ৩৩ রান খরচায়। দুটি উইকেট নেন সাউদি।