গাইবান্ধা শহরের প্রানকেন্দ্র পশ্চিম পাড়ায় অবস্থিত সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় টি জন্মলগ্ন থেকেই সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরে সেই সুনাম কে পায়ে ডলে বিদ্যালয়ে মিন্টু নামের নৈশ প্রহরি কাম পিওন নিয়োগের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি যেন রাতের আধার নামার সাথে সাথেই অপরাধের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত হয়ে উঠে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার স্থানীয় ভাবে পিওন মিন্টুকে সর্তক করে দিলেও ধরা কে সরা জ্ঞান করে মাদক সেবেন, বিক্রি সহ একের পর এক নানা অপকর্ম করেই চলেছে। এক বছর আগে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল কাদির ফুল সাহেব সভাপতি থাকা অবস্থায় এই মিন্টু মাদক সেবন এবং বিক্রির দায়ে জেল হাজতেও ছিল। জেল থেকে বের হবার পর আবারো স্কুলের বই চুরি করে শহরের একটি ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রির সময়ও হাতে নাতে ধরা পরে এবং সে সময় বেশ কিছু গনমাধ্যমে সেটি প্রকাশিত হয় পিওন মিন্টুর স্বীকারোক্তি সহ। সর্বশেষ আজ ভোর রাতে মিন্টুর চোর চক্রের কিছু সদস্য দ্বারা একটি অটো ভ্যান দ্বারা তিন বস্তা সরকারী বই নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়রা আটক করে। পরে আটককৃত বই গুলো সহ চুরির কাজে ব্যবহৃত অটো ভ্যান টির চালক সহ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ সময় আরো মজার বিষয় দেখা যায় মিন্টু নৈশ প্রহরি হওয়া সত্বেও প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন না করে বাহিরে অবস্থান করে এসব অপকর্মের কলকাঠি নাড়ে। এ ছাড়াও স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের ক্লাস রুমের ভিতর একজন মহিলার উপস্থিতি যিনি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত নন। তবে কি এখানে মাদক চুরি সহ নারি ঘটিত কার্যক্রম ও পরিচালিত হয়, এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে গুঞ্জন চলছে।
এতো গেল নৈশ প্রহরি কাম পিওনের কৃর্তি কলাপ, এর বাহিরে এই মিন্টুর ধারনকৃত ভিডিও বক্তব্য মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্যান্ন শিক্ষিকারাও এই বই চুরি সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত।
প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি স্থানীয় লোক না হওয়ায় এবং এত সব চোরের আখড়া হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এখন ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এবং সংশ্লিষ্টদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবার জোগার।
সুত্র মতে জানাযায় শহরের অন্য সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদের জন্য বরাদ্দকৃত বই এই প্রতিষ্ঠানের অরক্ষিত একটি ঘরে রাখা হয় শুধু মাত্র কি সংশ্লিষ্টদের চুরির স্বার্থে? বিষয়টি নিয়ে বারবার শিক্ষা দপ্তরেে জানানোর পরও কেন তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা বোধগম্য নয়। গতবছর বইয়ের ট্রাক স্কুলে প্রবেশের সময় স্কুলের প্রধান দরজাটি ভেঙ্গে গেলেও আজও তা ঠিক করা হয়নি বরং ভেঙ্গে যাওয় ইট গুলো বিভিন্ন সময় পিওন মিন্টু কিছু বিক্রি করেছে আবার কিছু নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছে। আরো দৃশ্যমান প্রমান স্বরুপ দেখা যায় এই চোর মাদক সেবি পিওন মিন্টু যেখানে বসবাস করে সেখানে প্রতিষ্ঠানেন বেশ কিছু বেঞ্চ টেবিল নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করছে যা কতটা আইন সঙ্গত? এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান টির সুনাম ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি লেখা পড়ার মান রক্ষা করতে চাইলে অচিরেই এই চোর মাদক সেবি পিওন মিন্টুকে জেলা শহরের অন্য কোন উপজেলায় বদলি করা জরুরি বলে মনে করছে স্থানীয়রা
সেই সাথে সরকারি চাকুরিতে কর্মরত অবস্থায় মাদক সেবন এবং বিক্রির দ্বায়ে সাজা খাটার পরও কিভাবে চাকুরিতে কর্মরত আছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।