আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর না পেয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের স্থানে পরিত্যাক্ত জায়গায় টিনের ছাপড়া ঘর তুলে স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে প্রখর তাপদাহে ও ঝড় বৃষ্টিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে আব্দুল মান্নান ও রাবেয়া দম্পতি। চলমান তাপদাহে দিনের বেলায় সেই ঘরে বসবাস করা তো দূরের কথা ৫ মিনিট থাকলে শরীরে ঘাম ঝড়ে কাপড় ভিজে যায়। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে ঘরের শোয়ার বিছানা পত্র ভিজে যায় এমন ভোগান্তিতে তাপদাহের কারণে শিশু দুটির নানা রোগে শোকে ভুগছে অসহায় পরিবারটি এরপরেও আশ্রয়নের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মান্নান – রাবেয়া দম্পতি নিরুপায় হয়ে উক্ত স্থানে বসবাস করছেন। বেশী তাপদাহ হলে রাবেয়া সন্তানদের নিয়ে কোন গাছের ছায়া ও অন্যের বারান্দায় আশ্রয় নেয় এভাবেই রোদ ঝড়ে সন্তানদের নিয়ে লড়াই করে রাবেয়া বেগম। অথচ প্রকল্প এলাকায় একাধিক ঘর খালি পড়ে আছে। ইতিমধ্যে উপজেলা কে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নের বাহিরডাঙ্গা গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের স্থানে রঙ্গীন টিনের সাড়ি সাড়ি ঘরের পাশে এভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে এ পরিবারটি। আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় ভূমিহীন মান্নানের পরিবার বেশ কিছুদিন হলো এমন মানবেতর জীবন যাপনের দৃশ্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আশ্রয়ন প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের নজরে আসার পরেও দেখেও তারা না দেখার ভান করে রয়েছেন বলে জানায় স্থানীয়রা ও প্রকল্প এলাকার অন্যান্য সুবিধাভোগীগণ।
মান্নান ও রাবেয়া দম্পতি জানায়, কামলা দিলে কাম করলে পেটে ভাত যায়, কাম না করলে বউ ছৌল নিয়ে না খেয়ে থাকান নাগে। ঘরের জন্য অফিছার বাবুদের কাছে ধর্না দিম কিভাবে। হামরা তো গরিব মানুষ হামারে হাতা মাতা কেউ নাই কেটা আমাদের স্থায়ী আশ্রয়ন করে দিবি। তোমারা যদি এনা সদয় হয়ে হামারে পরিবারের পাশে দাড়ান তাহলে হয়তো হামরা স্থায়ী আশ্রয় পামো।
স্থানীয়রা জানায়, লক্ষীপুর কয়ারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদ এর ছেলে আব্দুল মান্নান ও স্ত্রী রাবেয়া বেগমসহ দুটি সন্তান নিয়ে ছোট একটা ছাপড়া ঘরে রোদ বৃষ্টিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অন্তত শিশু দুটির মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের স্থায়ী আশ্রয়নের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বিধায় স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের ও বিত্তশালীদের সদয় সুদৃষ্টি কামনা করেন।