নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বে টেনিস একটি মার্জিত ও অভিজাত খেলা। টেনিস খেলা দেখার জন্য অনেক সেলিব্রেটিরা টেনিস কোর্টে বসে থাকেন। আমাদের টেনিস খেলোয়াড়রা সমগ্র বিশ্বে দেশকে পরিচয় করে দিবে। ২০২৫ সালে টেনিস দিয়ে সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশকে চিনবে। টেনিস খেলোয়াড়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
টেনিস খেলা একসময় সর্বসাধারণের মুখে মুখে ছিল। টেনিসকে নিয়ে মানুষ চিন্তা করত, খেলতো। ৫০ বছর আগে বিভাগীয় পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে, এমনকি থানা পর্যায়ে টেনিস খেলার প্রচলন ছিল। টেনিসের সাফল্য সম্পর্কে জানতো, সেটা ছিল গর্বের জায়গা। সেই জায়গা থেকে টেনিস পিছিয়ে আছে। অনেক খেলা এগিয়ে গেছে। ফুটবল, হকি খেলোয়াড়দের নাম মানুষের মুখে মুখে ছিল। এখন অনেকটা পিছিয়ে। এখন ক্রিকেট জায়গা করে নিয়েছে। টেনিস পিছিয়েছে। এটা সাংগঠনিক দুর্বলতা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে টেনিস এগিয়ে যেতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা একজন ক্রীড়া বান্ধব ব্যক্তিত্ব। তিনি ক্রীড়া পরিবার থেকে এসেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন খেলোয়াড় ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো গড়ে উঠছে। আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতা দরকার। টেনিস ফেডারেশন ধারাবাহিকভাবে টুর্নামেন্ট করছে। এটি ভালো উদ্যোগ। এটাকে ধরে রাখতে হবে। সাবেক টেনিস খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে দল মত নির্বিশেষে টেনিস খেলাকে এগিয়ে নিতে তিনি সহযোগিতার আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় উত্তরা ক্লাবে ‘উত্তরা ক্লাব টেনিস কার্ণিভালে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ক্লাবের পরিচালক গোলাম মাওলা, ক্লাবের পরিচালক সুলতান মইন আহমেদ রবিন, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম হায়দার। এস এম হায়দারের স্পন্সরশিপে এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সহযোগিতায় এ কার্ণিভাল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে উত্তরা ক্লাবের নিকট টেনিস সামগ্রী হস্তান্তর করেন।