৭ ওভার, ১ মেডেন, ২১ রানে ৬ উইকেট। শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপ স্বপ্ন দুমড়ে গিয়েছে এমন অসাধারণ এক বোলিং স্পেলে। মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত এই বোলিং ফিগারের সুবাদে লঙ্কানরা গড়েছে নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। তবে এদিন ৫০ রানে অলআউট হয়ে এশিয়া কাপেরই সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরেও নাম উঠেছে তাদের।
আর এমন লজ্জার দিনে বাংলাদেশকেও যেন কিছুটা রেহাই দিল লঙ্কানরা। আজকের ফাইনালের আগ পর্যন্ত এশিয়া কাপে দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর ছিল বাংলাদেশের। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সে রেকর্ড ভাঙল শ্রীলঙ্কা।
এশিয়া কাপের ফাইনালের ক্ষেত্রে অবশ্য আগের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৭৩ রানের। শ্রীলঙ্কা থামল তার অনেক আগেই। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আবার ভারতের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও এটি।
লো স্কোরিং এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে ৫০ রানে। ভারত ম্যাচ জিতেসে অনায়াসে। ১০ উইকেটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলটি। এশিয়া কাপের ফাইনালে উইকেটের হিসেবেও এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।
সিরাজের এই বোলিংয়ের কল্যাণে রেকর্ডবুকে এসেছে আরও বেশকিছু পরিবর্তন। বল বাই বল হিসেবে সবচেয়ে দ্রুততম ৫ উইকেটের তালিকার শীর্ষে আছেন এখন সিরাজ। এক ওভারে চার উইকেট পাওয়া চতুর্থ বোলার তিনি। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বোলিং ফিগারটাও এখন সিরাজেরই দখলে।