বোলিং দিয়ে কাজটা আগেই সেরে রেখেছিল ভারত। শ্রীলঙ্কাকে আটকে দিয়েছিল মাত্র ৫০ রানে। যেটা এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বনিন্ম। বল হাতে এত অল্প রানে গুঁটিয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতকে। মাত্র ৫১ রানের লক্ষ্যে নেমে মাত্র ২৭ মিনিটেই জয় তুলে নেয় ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে ভারত সময় নেয় ২৭ মিনিট। এই সময় খেলে ৩৭টি বল। অর্থাৎ ২৬৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয় রোহিত শর্মার দল।
এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে যা ভারতের অষ্টম শিরোপা। তাদের চেয়ে বেশি শিরোপা আর জেতেনি কেউ। শেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে হারিয়ে সপ্তম শিরোপা জিতেছিল তারা। ৫ বছর পর আবারও তাদের ঘরে উঠল এশিয়া মুকুট।
ফাইনালের আগে দুদলের পক্ষেই বাজি ধরার মানুষের অভাব ছিল না। কারণ শ্রীলঙ্কাও ছিল গেলবার চ্যাম্পিয়ন। এবারের টুর্নামেন্টও তাদের কেটেছে দুর্দান্ত। কিন্তু ফাইনালে তাদের যে এভাবে নাস্তানাবুদ হতে হবে তা কল্পনাতেও ভাবেনি কেউ।
৫১ রান তাড়া করতে নেমে ভারত একটি উইকেটও হারায়নি। দুই ওপেনার ইষান কিষান ও শুভমান গিল মিলে লিখে ফেলেন জয়ের পথ। দুজনের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে এশিয়ার সেরা হওয়ার মুকুট পরে ভারত। দলকে জেতানোর পথে ইষান কিষান খেলেন ১৮ বলে ২৩ রানের ইনিংস। তাঁর সঙ্গে গিল করেন ১৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস।
এর আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। যার শুরুটা করেছিলেন জাসপ্রীত বুমরাহ। ইনিংসের তৃতীয় বলেই বিদায় করেন লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরাকে। এরপরের চমক মোহাম্মদ সিরাজের। বল হাতে এসে রীতিমতো কাঁপিয়ে দেন স্বাগতিকদের। মাত্র ১২ রানের মধ্যে তুলে নিলেন লঙ্কানদের ৫ উইকেট। এমন ভয়ংকর শুরুর পর এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে ৫১ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।