ঘনবসতির মেগাসিটি রাজধানীবাসীর জন্য নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন হয় গত ২ সেপ্টেম্বর। খুলে দেয়া হয় বহুল কাঙ্ক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার পথ অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ।
নতুন এই যাত্রাপথ নিয়ে সাধারণ মানুষ আশায় বুক বেঁধে থাকলেও উদ্বোধনের পর দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সকাল কিংবা বিকেলের দিকে নিচের সড়ক যানবাহনে ঠাসা থাকলেও সম্পূর্ণ ফাঁকা দেখা যায় দ্রুতগতির উড়ালসড়ক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আবার যেসব যানবাহন নতুন এই পথ ব্যবহার করে এর মধ্যে গণপরিবহনের সংখ্যা প্রায় শূন্য। এ যেন শুধু ব্যক্তিগত গাড়ির চলার পথ।
এমন প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষকে দ্রুতগতির এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুফল দিতে এগিয়ে এসেছে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি। আজ থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলবে বিআরটিসির বাস। প্রাথমিকভাবে ৮টি বাস দিয়ে উত্তরা থেকে ফার্মগেটের খামারবাড়ি পর্যন্ত বিআরটিসির এই বাস সার্ভিস চলবে। এই রুটে বর্তমান যে ভাড়া আছে তাই নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিআরটিসি বাস চলবে অনেকটা ‘শাটল’ সার্ভিসের মতো। অর্থাৎ শুধু উড়ালসড়ককে কেন্দ্র করে। ফার্মগেটের খেজুর বাগানের কাছ থেকে বাসগুলো ছাড়বে। এরপর উড়ালসড়ক দিয়ে উত্তরার জসীমউদ্দীন রোড হয়ে খেজুর বাগান এলাকায় ফিরে আসবে। এভাবে সকাল ৭টা থেকে সারাদিন চলবে বাসগুলো। রাত পর্যন্ত যতক্ষণ যাত্রী পাওয়া যাবে, ততক্ষণই মিলবে বিআরটিসির বাস।
এই পথে ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে সহনীয়। খেজুর বাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা। আর জসীমউদ্দীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটার প্রতি ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেয়ার সুযোগ থাকবে না।
যাত্রী চাহিদার ভিত্তিতে পরবর্তীকালে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিআরটিসি।