সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ ও তার স্ত্রী আতিকা খাতুনের বিরুদ্ধে ১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্র জানায়।
এতে স্বামীর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৮ টাকা দেখানো হয়েছে।
এছাড়া স্বামীর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে।
শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস চার্জশিট আদালতে দাখিল করবেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করছিলেন। ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সম্পদের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ইকরাম উল্লাহ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ২০৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদর্শন না করে তা গোপন করেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ১০১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, আতিকা খাতুন দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৬ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার ৯২৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। আর অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ১১৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে।