1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

চিঠি পাওয়ার ২ ঘণ্টা আগেই পালান পি কে হালদার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে নির্দেশনাসহ দুদকের চিঠি হাতে পাবার দুইঘন্টা ৯ মিনিট আগেই ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান। পুলিশের বিশেষ শাখার(এসবি) ইমিগ্রেশন ইউনিটের পক্ষ থেকে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে মৌখিকভাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ও তার পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশ দেওয়ার পরও কিভাবে পি কে হালদার দেশত্যাগ করলো তা নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ওইদিন আদালত পি কে হালদার যেদিন দেশত্যাগ করেন সেদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের কারা দায়িত্বরত ছিলেন তাদের নামের তালিকা দাখিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশ দেন। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পি কে হালদারের পালানোর বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে মৌখিকভাবে তথ্য জানিয়েছে এসবি’র ইমিগ্রেশন ইউনিট।

জানা যায়, পি কে হালদার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য এসবি পুলিশকে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। ইমিগ্রেশন পুলিশকে সতর্ক করতেই এই চিঠি দেওয়া হয়। দুদকের এই চিঠি ডাকযোগে পাঠানো হয়। এর পরদিন ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় এই চিঠি পায় এসবি’র সদর দপ্তর। এরপর সদর দপ্তর থেকে এসবি’র সকল ইমিগ্রেশন ইউনিটকে ওইদিন বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে ইমেইলযোগে এই চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠি পাবার দুইঘন্টা ৯ মিনিট আগেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান পি কে হালদার।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থেই দুদক আগে থেকেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে পি কে হালদার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য দুদক এসবি’র মাধ্যমে ইমিগ্রেশনকে চিঠি দেয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এসবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দুদকের চিঠি পাবার কয়েক ঘন্টা আগেই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যান পিকে হালদার।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গতবছর ২১ অক্টোবর এক আদেশে দেশের বিমানবন্দরে পা রাখা মাত্রই পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ

দেন। এরপর পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চায়। এনিয়ে গতবছর ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ সুয়োমোটো আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় পি কে হালদারকে নিয়ে শুনানি অব্যাহত রয়েছে।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে সাড়ে তিনহাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগ এখন তদন্তাধীন। এনিয়ে হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে শুনানিও চলছে। এরইমধ্যে পি কে হালদারের কয়েকজন সহযোগী আদালতে স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছেন।

হাইকোর্ট থেকে পি কে হালদার ও তার সহযোগিদের পাসপোর্ট ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ রয়েছে। এরইমধ্যে নিম্ন আদালত পি কে হালদারের নামে থাকা কয়েক হাজার একর জমি জব্দেরও নির্দেশ দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি