মালদ্বীপে গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত হয় ‘মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান’ নামের একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা। কয়েকশ তরুণীর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হন এরিকা রবিন (২৪) নামের এক তরুণী। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন পাকিস্তানের কয়েকশ তরুণী। বিভিন্ন ধাপ পার করে সেরা পাঁচজনকে নিয়ে মালদ্বীপে এটির চূড়ান্ত আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছরের নভেম্বরে এল সালভাদরে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করার কথা রয়েছে তার।
তবে সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়ে, এখন উল্টো বিপদে পড়ে গেছেন পাকিস্তানের করাচির এই তরুণী। পাকিস্তানের ভেতর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষেপেছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার কাকারও। তিনি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন, কীভাবে পাকিস্তানের নাম ব্যবহার করে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে সেটি যেন খুঁজে বের করা হয়। এছাড়া ধর্মীয় নেতারাও এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এছাড়া কাকার এই আয়োজনকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘পাকিস্তানের নারীদের জন্য সম্মানহানিকর ও শোষণ’ বলে অভিহিত করেছেন বলে জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান এখন পর্যন্ত নিজেদের কোনো তরুণীকে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেয়নি।
তবে তীব্র সমালোচনা ও নিজের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে যাওয়ায় এরিকা রবিন জানিয়েছেন, তিনি নিজেই আর বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে এ তরুণী জানিয়েছেন, প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, এ বিষয়টিকে তিনি দেশের জন্য অনেক বড় দায়িত্ব মনে করেছিলেন। কিন্তু এখন তিনি আর এতে অংশ নেবেন না।
সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপন দেখে আরও কয়েকশ তরুণীর মতো এতে নাম লেখান প্রফেশনাল মডেল এরিকা
তিনি বলেছেন, ‘আমার দেশের সম্মানের ক্ষতি হবে এমন কোনো কিছু আমি করব না। ’
এদিকে ‘মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান’ এই সুন্দরী প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছিল দুবাইভিত্তিক সংস্থা ইয়ুগেন গ্রুপ। গত মার্চে পাকিস্তানে সুন্দরী প্রতিযোগিতার ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে সংস্থাটি। তাদের এ বিজ্ঞাপন দেখে প্রফেশনাল মডেল এরিকাসহ কয়েকশ তরুণী এতে আবেদন করেন।