দেশে ডেঙ্গু মহামারিতে স্যালাইনের সংকট স্বাস্থ্য সেবা খাতের বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেক স্থানে আবার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কয়েক গুণ বেশি দাম হাতিয়ে নিচ্ছে দোকানিরা। এমনই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে এসেছে ৫৩ হাজার দুই চালানে ৫৩ হাজার ২৫০ ব্যাগ স্যালাইন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুল জলিল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত থেকে আসা স্যালাইনের চালানটি বন্দরে পৌঁছালে দ্রুতই আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
স্যালাইন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার জাস করপোরেশন। আর ভারতের রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো জেনটেক্স ফার্মাসিউটিক্যাল।
বুধবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে একটি ট্রাকে ২৭ হাজার ৭৮০ ব্যাগ স্যালাইন দেশে এসেছে। এর আগে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ২৫ হাজার ৪৭০ ব্যাগ স্যালাইন দেশে আসে। এ নিয়ে দুই চালানে ৫৩ হাজার ২৫০ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হলো।
গত ৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্যালাইন আমদানি করা হবে। অনেকেই বলছেন, বাজারে স্যালাইনের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য ভারত থেকে ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ৩ লাখ ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন দেশে আসবে।
স্যালাইন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স জাস করপোরেশন’র প্রতিনিধি মোহম্মদ কাজল জানান, সংকট মোকাবিলায় আমদানি করা স্যালাইন বড় ভূমিকা রাখবে ও কম মূল্যে তা কিনতে পারবেন রোগীরা। শুল্কায়নসহ প্রতি ব্যাগের আমদানি মূল্য পড়ছে ৮০ টাকা। এরপর পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ যুক্ত হবে।
উল্লেখ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত ৯ সেপ্টেম্বর স্যালাইন আমদানির কথা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় আমদানি করা হলো এসব স্যালাইন।