আগামী দিন উত্তরবঙ্গের পকেট হচ্ছে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম। আজকে যেভাবে গড়ে উঠছে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট, এ উত্তবঙ্গের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হবে এ কুড়িগ্রাম। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিলমারী নদীবন্দরে চিলমারী-রৌমারী নদী পথে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, চিলমারী নদী বন্দর চালুর আগেই বুড়িমারী পর্যন্ত রেল লাইনের উন্নয়ন করা হবে। রেলকে ব্রডগেজ ও মিটার গেজ করা হবে।
বন্দরকে ঘিরে সড়ক পথ ফোরলেন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যখন যেটা বলেছে সেটা করেছে। দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য আওয়ামীলীগের কথা কখনো পাল্টায় না। রৌমারী থেকে চিলমারী পর্যন্ত ব্রীজ হবে। ব্রীজ নিয়ে ইতোমধ্যে স্টাডি হয়েছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া এ ব্রীজ কেউ করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান কমাডোর আরিফ আহম্মেদ মোস্তফা’র সভাপতিত্বে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) এসএম ফেরদৌস আলম, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য প্রকৌশলী যুগ্ম সচিব একে এম ড. আজাদুর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: সাইদুল আরিফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌ স:প) শাহজাহান, পরিচালক (বওপ) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) ছাইদুর হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বন্দর উন্নয়নের ফলক উন্মোচন করেন।
বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, চিলমারী-রৌমারী নৌ পথের দৈর্ঘ ২১ কিলোমিটার। তবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই পথের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ফেরি সার্ভিস চালু হলে চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে। যাতায়াত খরচও কমে যাবে।