খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে কোনো আবেদন আসেনি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। সেখান থেকে তারা আমাদের কাছে মতামত চাইবে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রী বদন্যতা ও মহানুভবতায় এখন মুক্ত হয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন।
বিএনপির হরতাল কর্মসূচির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, কেউ আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কসবার একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে কসবায় যান।
এদিকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় অবস্থার অবনতি হলে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া তার মেরুদণ্ড, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গত বছরের জুনে বুকে ব্যথা অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে ৩টি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। চলতি বছরের ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে ওই হাসপাতালের প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।