জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পর্যটনশিল্প দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।’
আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে মুজিবস বাংলাদেশ উদযাপনে ৪ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের বুকে পর্যটন শিল্পে এক অপার সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশ। সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং গৌরবময় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক এদেশ। প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্য অন্য দেশের থেকে অনন্য এবং একক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। তাই পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ অতিথিপরায়ন এবং বন্ধুবৎসল। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রতœতাত্মিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি, দীর্ঘতম অখন্ড সমুদ্র সৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, প্রসিদ্ধ খাবার, সংগীত এবং নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আকর্ষণে বিদেশিরা এদেশে ছুটে আসে।প্রতিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা এবং এর অর্থনৈতিক সুফল স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
স্পিকার বলেন, দেশের অফুরন্ত পর্যটন সম্ভাবনাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। সকলের আন্তরিক অংশগ্রহণের ফলেই পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
স্পিকার ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ এবং ‘প্লাস্টিক ফ্রি সেইন্ট মার্টিন’ উদ্যোগের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং এ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর ইমাম জয় এমপি, আশেক উল্যাহ রফিক এমপি এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ, পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী, বিভিন্ন স্টলের সত্ত্বাধিকারী, আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।