লাঠি, গুলি ও স্টান গ্রেনেড উপেক্ষা করে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছেই। গত রবিবার থেকে আজ মঙ্গলবার (২ মার্চ) পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন শহরে পুলিশের গুলিতে অন্তত ২১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আজও দেশটির বড় শহর ইয়াঙ্গুনসহ অন্যান্য শহরে মিছিলে স্টান গ্রেনেড ও গুলি চালিয়েছে পুলিশ। তবে এতে আজ এখনো কেউ নিহত হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগানে বলছেন, আমরা নিপীড়িত হলে বিস্ফোরণ ঘটবে। আমাদের আঘাত করা হলে আমরা পাল্টা আঘাত করব। ইয়াঙ্গুনে কোনও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কালে শহরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে বহু লোক আহত হয়েছে। তবে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
কালে শহরের এক সাংবাদিক এবং এক গণতন্ত্র বিষয়ক এক্টিভিস্টের বরাতে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স। তারা বলেছেন, অনেকে আহত, এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। এ বিষয়ে কথা বলতে হাসপাতাল ও পুলিশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় রয়টার্স। এমনকি মিয়ানমার জান্তার মুখপাত্রও বার্তাসংস্থাটির কল ধরেনি। পুলিশের হামলা থেকে রক্ষা পেতে বিক্ষোভকারীরা শক্ত হ্যাট ও হাতে বানানো ঢাল ব্যবহার করছেন। এসব নিয়ে তারা রাজধানী ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান বলেছেন, এসোসিয়েশন অফ সাউথ এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভিডিও কলের মাধ্যমে বৈঠক করবেন। সেখানে তারা মিয়ানমার জান্তার প্রতিনিধিকে বলবেন যে সহিংসতা দেখে তারা হতবাক হয়ে গেছেন। এর আগে সোমবার গভীর রাতে একটি টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে বালাকৃষ্ণান বলেছিলেন, আসিয়ান সু চি এবং জান্তার মধ্যে আলোচনাকে উৎসাহিত করবে। আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই এবং ভিয়েতনাম।