সাভার উপজেলাধীন আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটবাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তানের জবাইকৃত মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। আনুমানিক ৩ দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মুহুর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আশুলিয়া থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা অতি দ্রুত ঘটনার সত্যতা উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
শনিবার রাতে জামগড়া ফকির বাড়ির মোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন ভবনের ৬তলা বাড়ির ৪ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতরা হলেন ঠাঁকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)। শাহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ায় পৃথক দুটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরী করতেন।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ফ্ল্যাট থেকে দূর্গন্ধ বের হলে আশেপাশের বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা খোলা রয়েছে। পরে ঘরের বিছানার উপর মা ও ছেলের রক্ত মাখা মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে বাড়ির মালিক ও পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এরপরে পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের পাশের ঘরে আরেকটি মরদেহ খুঁজে পায়। ধারণা করা হচ্ছে এটি স্বামীর মরদেহ।
আশুলিয়া থানার (এসআই) উপ-পরিদর্শক জোহাব আলী বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিছানার উপর মা ও ছেলে দুজনের মৃতদেহ দেখতে পেয়েছি। পরে পাশের ঘর থেকে আরেকজনের মৃতদেহ পেয়েছি। মনে হয় এটি স্বামীর মৃতদেহ । ঘরে প্রচন্ড দূর্গন্ধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আনুমানিক ৩ দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।