প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন দালালের খপ্পরে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেও এবং ঔষধ কিনতেও দালালের ফাঁদে পড়তে হচ্ছে তাদের।
দালালের কারণে সেবা নিতে গিয়ে উল্টো প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীর স্বজনরা।সাথে বাড়ছে রোগীর আশানুরূপ চিকিৎসার অনিশ্চয়তাও।
সরোজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার দালাল,আয়া সবাই টাকা খায়,টাকা ছাড়া সামান্য কাজটুকুও করেন না তারা।রোগীর স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। তারা রোগীর স্বজনদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।
রাত ১১ টার পর রোগীদের কাছে গিয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে প্রলুব্ধ করে থাকে একটি চক্রটি। ন্যায্যমূল্যে ওষুধ কিনে দেওয়ার কথা বলে রোগীর স্বজনকে নিয়ে যাওয়া হয় দালালদের নির্দিষ্ট ফার্মেসিতে। যেখানে আদায় করা হয় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে চার থেকে তিনগুণ বেশি দামে।সেই ঔষধের কমিশন দালাল,আয়া সহ একটি সিন্ডিকেট পেয়ে থাকে।
শুধু ঔষধ এ নয়,কেবিন কারো দরকার পড়লে সেখানে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা।
এই দালালের সিন্ডিকেট শুধু হাসপাতালে নয়,কাজ করে থাকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের এজেন্ট হিসেবে।ইমার্জেন্সিতে রোগী আসলে,অবস্থা খারাপ দেখলে ঢাকা মেডিকেল এ সিট পাওয়া এবং চিকিৎসার বিলম্ব দেখিয়ে তাদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকেও এই সিন্ডিকেট আয় করে প্রচুর টাকা।সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকার সুযোগটি নেয় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক।হাসপাতালের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মচারী ও নিরাপত্তারক্ষীর সহযোগিতায় ক্লিনিকের দালালরা তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রাখার সুযোগ পায়।
এখনতো সরকারি হাসপাতাল গুলোতে দেখা যায় ডাক্তারের থেকে আয়া এবং দালালেরা ক্ষমতাশালী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রশাসন কিছুদিন পর পর দালালদের আটক করে।কিন্তু এতো কিছুর পরও দিনদিন লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে দালালের দৌরাত্ম্য।