স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘কিছু-কিছু মানুষ দেখা গেছে ছাদে পানি জমিয়ে রাখছে এবং সেখানে এডিস মশাল লার্ভা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তারা নিজেরা পরিষ্কার করে না এবং বললে তারা রিয়েক্ট করে। কিছু কিছু বাড়িতে তারা বলে যে, আপনারা লার্ভা এনে রেখে দিয়েছেন। এরপর আমাদের জরিমানা করছেন– এরকম কিছু বিষয়ে আছে। তবে এদের সংখ্যা খুবই কম, এগুলো আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে আসে।’
রোববার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তবে বেশিরভাগ লোক কো-অপারেশন করে। কারণ মানুষ নিজেই তো আক্রান্ত হবে, সে নিজেই তো মারা যাবে। তো আমি মনে করি, এ ব্যাপারে আমাদের আর যে সমস্ত অপশন আছে অংশগ্রহণ করার জন্য, সেগুলোর সবগুলোই আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আর আমরা আজ এখানে বসে কিছু আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষরা অনেক সচেতন হয়েছে। আজ কলম্বিয়াতে ১১ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। আমাদের দেশে আমরা যদি সচেতন করতে না পারতাম, মানুষ যদি অংশগ্রহণ না করত, তাহলে এখানে অবস্থাটা আরও ভয়াবহ হতো। মানুষ অংশগ্রহণ করেছে এবং আমাদের পক্ষ থেকেও প্রচেষ্টা আছে। এখন পর্যন্ত আমরা যে ৭০টি সভা করেছি, সেখানে আমাদের কোথায় কোন ঘাটতি আছে– এটা খুব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তবে যেটা হচ্ছে, সেটা আমরা কাজে লাগাচ্ছি।’
কিছু এলাকার মানুষ কখনো মশা মারার মেশিন কখনো দেখেছে বলেও মনে হয় না– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্ধারিত নামগুলো আমাদের দেন। অবশ্যই আমরা আমলে নেব।’