1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

বর্ডার খুলে দিলে আলু ২০-২৫ টাকায় নামবে’

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

বর্ডার খুলে দিলে ভোক্তারা ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তবে এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয় বলেও জানান তিনি।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এখন আমরা বর্ডার খুলে দিলে কৃষক বা আলু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পরের বছর তারা আলু উৎপাদনে উৎসাহিত হবে না। অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে দেশে চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি। এ চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষ ভুগছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য কখনও বাড়ছে, কখনও কমছে। যার প্রভাব সারাবিশ্বের মতো আমাদের দেশেও পড়ছে। আমাদের দেশে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় সেগুলোর উৎপাদন খরচ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ব্যবসায়ী মহল, করপোরেট গ্রুপ বা যারা এটি নিয়ন্ত্রণ করে, তারা মাঝে মধ্যে একেকটা দ্রব্য নিয়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করে।’

ভোক্তার ডিজি বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী আলুর দাম নির্ধারণ করেছেন। খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা ও হিমাগার পর্যায়ে ২৭ টাকায় বিক্রি করতে। এ আলু দেড়-দুই মাস আগেও যখন হিমাগার থেকে ২৩-২৪ টাকায় বিক্রি হত, তখনও তাদের লাভ থাকত। এমন কোনো কারণ উদ্ভব হয়নি বা খরচ বাড়েনি যে, সেটি ৩৬-৪২ টাকা পর্যন্ত হিমাগার থেকে বিক্রি হবে। যার ফলে ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে। এগুলো অস্বাভাবিক আচরণ।’

তিনি বলেন, অনেকের মতামত যে, আলুর দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণের দুই সপ্তাহ পরও সরকারি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। এটি সত্য কথা। আবার এটাও সত্য কথা, আমাদের প্রচেষ্টার ফলে আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে ৬০-৭০ টাকা হয়নি বরং অন্তত ১০ টাকা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে এখন ৪০ টাকার মধ্যে আলু পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় আমরা ৩৬ টাকায় আলু বিক্রি নিশ্চিত করেছি।

ভোক্তার ডিজি বলেন, প্রতিদিন আমাদের ৪০-৪৫টি টিম বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কিন্তু এ অভিযান কী যথেষ্ট? এ অভিযান কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। আমাদের লজেস্টিক সমস্যা আছে। ১৭টি জেলায় আমরা কোনও কর্মকর্তা দিতে পারিনি। জেলায় যেখানে আমরা ম্যান পাওয়ার দিতে পারিনি, সেখানে উপজেলা বা বড় বড় হাটগুলোতে আমাদের অভিযান চালানোর সুযোগ কম। তারপরও আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।

তিনি বলেন, দেশের অনেক জায়গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নেই। তারপরও সীমিত সামর্থ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। এর সুফলও পড়তে শুরু করেছে বাজারে। শুধু আইনের প্রয়োগের মাধ্যমেই জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত ভোক্তারা সচেতন হচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কারসাজির অপচেষ্টা চালাতে থাকবেন।

পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে এসব সিন্ডিকেটকারীকে দমন করতে সরকার প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করবে না বলে উল্লেখ করেন ভোক্তা অধিকারের ডিজি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি