দূর্নীতির আঁতুড়ঘর হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)।ভোগান্তির আরেক নাম যেন বিআরটিএ।
তবে ঘুষ দিলেই সকল সমস্যার সমাধান হয় নিমিষেই। প্রতিটি কাজের জন্য ঘুস। দালালচক্রের মাধ্যমে প্রতিটি কাজের জন্য বিভিন্ন রেটে ঘুষ আদায় করা হয়।
ঘুষ দিয়ে কাজ তাড়াতাড়ি করা যায় বলে মুখ মুখতেও এখন নারাজ সেবাগ্রহীতারা।ঘুষ লাগছে তাতে কি কাজটিতো হচ্ছে ঝামেলা বিহীন, এমনই মন্তব্য একজন লাইসেন্স বানাতে আসা সেবাগ্রহীতার।
নম্বর প্লেট, ফিটনেস, লার্নার, মালিকানা পরিবর্তন, রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে সেখানে ঘুস বাণিজ্য ওপেন সিক্রেট।গণমাধ্যমে এখন সরব এই চিত্র।
ফিটনেস বিহীন গাড়ির সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছে ঘুষ ছাড়া।এতে করে লাভবান হচ্ছে গাড়ির মালিক কিন্তু জীবন ঝুঁকি বাড়ছে জনসাধারণের। ঘুস দিয়েই পাশ করা যায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায়, দক্ষতা প্রমাণের দরকার হয় না।
প্রায় প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যায় গণমাধ্যমে রাস্তায় বাস,মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট। প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষের প্রাণ যাচ্ছে এই দূর্ঘটনায়।দক্ষতা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্বায়ী হরহামেশাই মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সড়কের নিরাপত্তার বিষয়টি।এতো কিছুর পরও নিরব ভূমিকা পালন করছে রাজধানীর বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। আর নিরব ভূমিকা পালন করবেই না কেন,ঘুষের টাকার হিস্যা পায়,আনসার,দালাল সহ কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী।
দালালদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হলেও দালালের চিত্র দিনশেষে একই রকম।বিআরটিএর প্রশাসনিকভাবে এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের যৌথ উদ্যোগই পারে এই দূর্নীতি রোধে ভূমিকা রাখতে।