সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এই উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমার শৈল্পিক রূপ দেওয়ার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন ও প্রতিমা
শিল্পীরা। প্রতিমার ভাস্কর কারিগর গত মাস ধরে ওই প্রতিমা নিপূণ হাতে তৈরি করছেন।
জানা যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আকৃষ্ট করতে আয়োজকরা ব্যতিক্রমধর্মী নানা দেবদেবীর প্রতিমা তৈরি করেছেন। শিল্পীদের নিপুণ হাতে ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ করে এখন চলছে রঙতুলির কাজ।
এর আগে বাঁশ ও খড়কুটোর ওপর দেওয়া হয়েছে মাটির প্রলেপ। এরপর শিল্পীর আঁচড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দশভূজা দেবী দুর্গাসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমূর্তি।
চলতি মাসের ২০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় চলছে প্রতিমা নির্মাণের কাজ। পূজা মণ্ডপের কারিগর বলেন,প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
কারিগররা জানান আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা রঙতুলির কাজ চলছে। আমরা এবার ধর্মাবলম্বীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।তারা জানায় এবার এত প্রতিমা তৈরি করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিদুষ রায় জানান এ বছর দেবী মা আসছেন ঘটকে আর যাবেন ও ঘটকে চড়ে। এ বছর
দেবীর আগমনে ধ্বংস ও অস্থিরতার বার্তা রয়েছে।
উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু নির্মল মিত্র ও সাধারন সম্পাদক দীলিপ চন্দ্র সাহা বলেন,কয়েক বছর ধরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ও দর্শনার্থীদের মন জয় করতে মন্ডবে মন্ডবে প্রতিমার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু দীলিপ চন্দ্র সাহা জানান পলাশবাড়ী উপজেলায় ৬২ টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা সহায়তা করছে।
পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ