এই হায়দরাবাদেই নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিলে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচের ভেন্যুও একই জায়গায় হওয়ায় বাড়তি অ্যাডভান্টেজ বাবর আজমের দলের। নিউজিল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস দ্বৈরথের ভেন্যুও ছিল একই। ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ আয়োজনে শতভাগ প্রস্তুত থাকবে তো রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম? সমালোচনা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই।
সাম্প্রতিক সময়ে ওপেনিংয়ের দূর্বলতা বড় চিন্তার নাম পাকিস্তানের। ইমাম উল হক কিংবা ফখর জামান দু’জনই অধারাবাহিক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে নিশ্চয়ই সেদিকে বাড়তি নজর থাকবে দলের।
সঙ্গে নির্ভরতার প্রতীক বাবর আজমও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। দলে ইনজুরি সমস্যা নেই। অপরিবর্তিত একাদশ দেখা যেতে পারে লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচে।
পাকিস্তান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন বলেন, আমরা সব প্রতিপক্ষকে সমীহের চোখে দেখছি। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কা আমাদের সঙ্গে ভালো খেলেছে। তবে পরিসংখ্যান না ঘেটে আমরা খেলায় মনোযোগ দিতে চাই।
বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান পাকিস্তানের পক্ষে। ৮ ম্যাচে কখনোই দলটাকে হারাতে পারেনি লঙ্কানরা। হেরেছে সাত ম্যাচ বাকিটা পরিত্যক্ত। সবমিলিয়ে ১৫৬ দেখায় ৯২ ম্যাচে জয় পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৫৯ ম্যাচ।
এবারের সূচিটাই গোলমেলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে দিল্লি থেকে হায়দরাবাদে ফিরে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য মাত্র একদিন সময় লঙ্কানদের।
প্রথম ম্যাচে বিশ্বকাপের রেকর্ড রান দিয়েছে বোলাররা। অনুশীলনে তাই বোলিংয়ে জোর দিয়েছে সানাকার দল। এশিয়ার কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের স্মৃতি নিশ্চয়ই ফিরিয়ে আনতে চাইবে লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত খেলা হয়। তাই প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে। আমরা মোমেন্টাম ধরে রেখে খেলতে চাই। জয় পরাজয় ছাপিয়ে কতটা ভালো খেলতে পারলাম সেটাই মুখ্য।
এ ম্যাচে ফিরছেন রহস্যময় স্পিনার মহেশ থিকসানা। নিশ্চিত করেছে লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্ট। হায়দরাবাদের এই ভেন্যু হাই স্কোরিং ম্যাচের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেখানে প্রথম ইনিংসের গড় ২৮৮ রান।