আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের এক জনসমাবেশে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি গ্রামে স্কুলগুলো উন্নত করে দিচ্ছি। রাস্তাঘাটের উন্নতি করে দিয়েছি। শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য আমরা প্রায় প্রতি জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। আমি জানি ফরিদপুরে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নাই। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো- ফরিদপুরে যে মেডিক্যাল কলেজ ছিল মাত্র ২৫০ বেডের। আমি সরকারে আসার পর সেই মেডিক্যাল কলেজের উন্নতি করে দিয়েছি। বিভাগে এখন পর্যন্ত চারটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি।’
ফরিদপুর সবচেয়ে পুরনো একটা শহর হলেও সব সময় অবহেলিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ফরিদপুরের সার্বিক উন্নয়ন, সেই সঙ্গে প্রতিটি উপজেলায়ৃনৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই সমগ্র দেশের উন্নতি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরে, আমি জানি সকলের অনেক দিনের আশা, এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার। ইনশাআল্লাহ, আগামীতে সরকারে আসতে পারলে আমরা সেই বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেকটি উপজেলায় আমরা কারিগরি স্কুল করে দিচ্ছি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কারিগরি-ভোকেশনাল ট্রেনিং যাতে পায়, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়, সেটা আমরা করে দিচ্ছি।’
মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেয়েদের কাজের সুযোগ করে দিয়েছি। প্রাইমারি শিক্ষক মেয়েরাও ৬০ পার্সেন্ট পাবে, সেইভাবে আমরা ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ওয়াদা দিয়েছিলেন, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন সকলের হাতে মোবাইল ফোন। সবাই অনলাইন ব্যবহার করে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন।
এর আগে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া রেলস্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে যাত্রা শুরু করে ফরিদপুরের ভাঙ্গার রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন।
ভাঙ্গা ডা. আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসমাবেশ শেষে বিকেলে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে যাবেন। তার আগে তিনি ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ উদ্বোধন করেন।