অলিম্পিকে আবারও ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত হবার হয়তোবা অবসান হতে যাচ্ছে। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি ইভেন্ট হিসেবে ক্রিকেটকে দেখা যেতে পারে। এ সপ্তাহেই মুম্বাইয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে এ ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সর্বশেষ ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিকে ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিকের জন্য ২৮টি ইভেন্টের নাম চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তবে আয়োজক দেশের প্রস্তাবিত পাঁচটি নতুন ইভেন্টের মধ্যে ক্রিকেট অন্যতম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রস্তাব দিয়েছে অলিম্পিকে পুরুষ ও মহিলা দলের জন্য টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে প্রতিযোগিতা আয়োজনের।
এ সম্পর্কে আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি যে এলএ২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সুপারিশ করেছে। এখনো যদিও এ বিষয়ে কোন কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। প্রায় একশ বছরেরও বেশী সময় পর প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে ক্রিকেটকে দেখতে পাওয়া সত্যিই এক বিশাল মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’
২০২৮ অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ এলএ ২৮-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিই অলিম্পিকে ক্রিকেট ফেরানোর আশা উজ্জ্বল করেছে। ক্রিকেট, বেসবল/সফটবল, ফ্ল্যাগ ফুটবল, ল্যাকরোসে ও স্কোয়াশ- এই পাঁচটি খেলাকে লস এ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে অন্তর্ভূক্তির জন্য বিবেচনা করার কথা জানানো হয়েছে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
অলিম্পিক ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত না হলেও কার্যত ক্রিকেট নিজেই এই গেমস থেকে দূরে থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিল। ২০২১ সালে বার্কলে বলেছিলেন, কোনো সময়ই বিডে থাকা সত্ত্বেও আমাদের ক্রিকেট নিজেরাই অনেক বেশি শক্তিশালী। তবে অদূর ভবিষ্যতে অলিম্পিকেও আমরা ক্রিকেটকে দেখতে চাই। পুরো বিশ^জুড়ে আমাদের এক বিলিয়নেরও বেশি সমর্থক আছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ ক্রিকেটকে অলিম্পিকে দেখতে চায়।’
অলিম্পিকের মুভমেন্টের অংশ হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ক্রিকেটের প্রতি সমর্থন সবসময়ই ছিল। আইওসির সাবেক সভাপতি জ্যাক রগে ২০১১ সালে বলেছিলেন, ‘আমরা ক্রিকেটের আবেদনকে স্বাগত জানাই। এটা বিশে^র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, জনপ্রিয় একটি খেলা এবং টেলিভিশনে এর শক্তিশালী ভূমিকা আছে।’
বর্তমান সভাপতি থমাস বাখও ক্রিকেটের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। আগামী ১৫-১৭ অক্টোবর মুম্বাইয়ে আইওসির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।