প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে নিজের তোলা ছবি জনগনকে দেখিয়ে প্রতারনা মূলক ভাবে অর্থ আত্মসাত ও চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলায় সাইফুল ইসলাম সজীব নামে এক প্রতারককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন আসামি সাইফুল ইসলাম। এ দিন আসামি পক্ষে জামিনের আবেদন শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিমির সাবেক সভাপতি আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের। অপরদিকে বাদী পক্ষে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি
গাজী মো. শাহ আলম, মো. শামসুল হুদা ও এম এ সাত্তার। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবী আসামির জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি সাইফুল ইসলাম সজীব প্রধানমন্ত্রীর সাথে তোলা একটি ছবিকে পুঁজি করে জনগনের মধ্যে নিজেকে একজন অত্যন্ত ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী বলে প্রচার করতে থাকেন। একসময় আসামি বাদীর মটর সাইকেলের শোরুমে এসে আসামী প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের লোক বলে পরিচয় দেন এবং বাদীকে বলেন যে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বড় করার জন্য আমি ব্যাংক থেকে লোনের ব্যবস্থা করে দেবো। আসামির কথা শুনে বাদী আসামির অফিসে গিয়ে দেখেন আসামির সহিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়ালে টানানো। একপর্যায়ে আসামি বাদীকে ২০ লখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে দিতে পারবে বলে জানান। আর ঋণ প্রসেসিং ফি বাবদ ১ লাখ টাকা খরচ হবে বলে বাদীকে জানান। তখন বাদী সরল বিশ্বাসে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিছুদিন পর বাদীর ঋন মঞ্জুর না হওয়ায় আসামির নিকট বাদী টাকা ফেরত চাইলে আসামি বাদীকে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টা বাদীর নিকট ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় বাদীকে অপহরণ করার হুমকি প্রদান করেন। এ অভিযোগে বাদী তৌহিদুল ইসলাম সিএমএম আদালতে মামলা করেন। শুনানি শেষে আদালত হাতিরঝিল থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করার আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামি গত ২৭ আগষ্ট হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন প্রাপ্ত হন।