1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তারা দেশের উন্নতি সহ্য করে না। এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে জিয়া বা খালেদা জিয়ার কোনো অবদান নেই। বরং তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে যে দেশের উন্নতি হয়, এটা আজ আমরা প্রমাণ করেছি। গত ২৯ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশের মানুষের জন্য কী করেছে? কিছুই করেনি। যা করেছে আওয়ামী লীগই করেছে।
আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা আর স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় বসানোর কাজ করেছে। সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের জন্ম হয়েছে হত্যার মধ্য দিয়ে। জিয়া ও এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। ওই অবৈধ দখলদারদের দোসর বিএনপি-জামায়াত আজ বাংলোদেশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করে না।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মাত্র দেড় মাসে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার করেছি। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একটা প্রশ্ন, বিএনপি নেতাদের কাছে। আপনারা অনশন করেন, কেমন ছেলে সে (তারেক রহমান) অসুস্থ মাকে (খালেদা জিয়া) দেখতে আসে না। মা নাকি মরে মরে। আমি তো বলব, মাকে দেখতে আসুক।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এক ছেলে কোকো মারা যায়। আমি একজন মা। আমারও সন্তান আছে। আমি খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিলাম। আমি যখন সেই বাসার সামনে যাই, বাসার গেট তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। কত বড় অপমান, চিন্তা করে দেখেন। খালেদা জিয়া ভুলে গেছেন, স্বাধীনতার পর কতবার ওই ৩২ নম্বরে গেছে। আমার বাবা আর মা যদি সহযোগিতা না করতো তাহলে নিজেকে বেগম জিয়া বলে পরিচয় দিতে পারত না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বোন আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করল। আমি সাজা স্থগিত করলাম। এখন নাকি তারা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনশন করছে।
শেখ হাসিনা বলেছেন, অনশনের নামে বিএনপি নাটক করছে। আমার একটা প্রশ্ন, বিএনপি নেতাদের কাছে। আপনারা অনশন করেন।
‘অনশনের আগে কী দিয়ে নাস্তা করে এসেছে? শেষে কী দিয়ে ভাত খাবে? নাটকের একটা সীমা থাকে। কয় ঘণ্টার অনশন?’-যোগ করেন সরকারপ্রধান।
খালেদা জিয়ার আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল দাবি করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি তৈরি করেছিলেন। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে পড়াশোনা করতে পারেনি বলে অন্যরা পড়াশোনা করুক সেটাও চায় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে (বেগম জিয়া) একবার ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিল। দুইটা বিষয়ে পাস করেছিল। উর্দু আর অংক। সারাদিন পেয়ারে পাকিস্তান বলে জপ করে। সেই জন্য উর্দুতে পাস করেছিল। আর টাকা পয়সার হিসাব করতে হয়, তাই অংকে পাস করেছিল।’
সমাবেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক বেশি খরচ করতে হয়। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। একইভাবে পানি উৎপাদনেও সরকার ভর্তুকি দিয়েছে। পানি ব্যবহারেও সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গ্রামে গেলাম, সেখানে দেখি সকলের হাতে মোবাইল ফোন। সবাই ছবি তুলছে। অথচ বিএনপির আমলে কম্পিউটার ছিল না।’
সরকার ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং’ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না থাকে, অন্য কেউ যদি ক্ষমতায় আসে সব ধ্বংস করে দেবে।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছি। বলেছিল, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আল্লাহর মাইর, দুনিয়ার বাইর। এখন সে না প্রধানমন্ত্রী, না বিরোধী দলে।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি করেছে। খালেদা জিয়া বলেছিল, গোপালগঞ্জের নাম মুছে ফেলবে। জয় বাংলা স্লোগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতিহাস মুছতে চাইলেই মুছে ফেলা যায় না।
আওয়ামী লীগ অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে একটা দেশের যে উন্নতি হয়, যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে তারা ক্ষমতা থাকলে যে দেশের জন্য উন্নতি হয়, আজ আমরা সেটা প্রমাণ করেছি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীগের সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহজাহান খান; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতা ও কর্মীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি