আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিমান চলাচল প্রায় তিন গুণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি বলেছেন, এভিয়েশন সেক্টরে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় নাম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সম্ভাবনাকে সফলভাবে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছি। গত ১০ বছরে দেশের বিমান চলাচলের বাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী ১৫ বছরে তা তিন গুণ বাড়বে।
আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকার প্যান-প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন প্রধানদের (ডিজিসিএ) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এরপর সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরকে উন্নত করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা এমন একটি এভিয়েশন হাব গড়ে তুলতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে পর্যটকরা আরও আকৃষ্ট হয়।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বিমান শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে তার হাত ধরে সিভিল এভিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তার স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নে কাজ করছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরে দেশ এক অপার উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মো. মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এমন একটি এভিয়েশন হাব গড়ে তুলতে, যাতে পূর্ব ও পশ্চিমকে এক করা যায়। আমাদের ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের জন্য একটি আলাদা সুবিধা আমরা পেয়ে থাকি।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক উন্নয়নের কর্মকাণ্ড হিসেবে বিগত দুই যুগ ধরে কাজ করছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ২১০০ সালে ডেল্টা প্ল্যান আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য।
এবারের সম্মেলনে এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৭টি দেশ ও ১৩ আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।