মেসি ম্যাজিকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতল আর্জেন্টিনা। তবে এ ম্যাচে ইনজুরির কারণে মেসি খেলবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে মেসি নামলেন এবং জয় করলেন। শুরুর একাদশে থাকা মেসি প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেছেন। তার জোড়া গোলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে পেরুর বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে জয় পেয়েছে। এ জয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চার ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে কনমেবল অঞ্চলের বাছাইয়ে আলবিসেলেস্তেরা টেবিলের শীর্ষে রয়েছে।
এ দিন ম্যাচের ৩২ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন মেসি। নিকোলাস গঞ্জালেসের বাড়ানো বলে বক্সের ডান দিক থেকে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন তারকা। এর মিনিট দশেক পরই তিনি দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যান। এনজো ফার্নান্দেসের পাস পেয়েও সেটি এড়িয়ে মেসির জন্য ছেড়ে দেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজ। এরপর নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান মেসি। এর মাধ্যমে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড মেসির দখলে। ৩১ গোল নিয়ে তিনি সবার উপরে আছেন। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়া আর্জেন্টিনার দখলে ছিল ৭৫ শতাংশ বল।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে আর্জেন্টাইনরা। ফলে ৫০ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ আসে নিকোলাস গঞ্জালেসের সামনে। কিন্তু শেষ সময়ের মরিয়া স্লাইডে ব্যবধান বাড়তে দেননি উইল্দার কার্তাহেনা। গতিময় ফুটবলে পরের কিছুক্ষণ আর্জেন্টিনার রক্ষণকে চাপে রাখে পেরু। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ফের মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় আর্জেন্টিনা। ৫৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে বল জালে বলও পাঠানে মেসি। তবে ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে আবারও সুযোগ আসে মেসির সামনে। তবে ছোট ডি-বক্স থেকে ডিফেন্ডারদের চ্যালেঞ্জের মুখে শট নিতে পারেননি। পরের মিনিটে তার শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। ৮৪তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর কাছাকাছি ছিল পেরুও। খুব কাছ থেকে নেওয়া হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রেনাতো তাপিয়া। ফলে বাছাইয়ের চতুর্থ ম্যাচেও নিজেদের প্রথম গোল পাওয়া হয়নি পেরুর।
এ ম্যাচের জোড়া গোলের ফলে বাছাই পর্বে মেসির গোল সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে। বর্তমান যুগ্মভাবে শীর্ষে তিনি ও উরুগুয়ের নিকোলাস ডি লা ক্রুজ। জাতীয় দলের হয়ে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়ালো ১০৬। ১৭৭ ম্যাচে এ গোল করেছেন। এ ছাড়া এ ম্যাচের জোড়া গোল নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তার গোলের সংখ্যা ৩১, যা দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের রেকর্ড।