রাজধানীতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকালে থেকে শুরু হওয়া এই যানজট বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ছে। এর প্রভাব পড়েছে পুরো রাজধানী জুড়ে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপি গণসমাবেশ এবং দুপুর আড়াইটায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দল ও জোটগুলো পাঁচটি সমাবেশ করবে।
বুধবাররাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে। মহাখালী, বনানী, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, আসাদগেট, ফার্মগেট কারওয়ান বাজার, পল্টন, গুলিস্তান, শান্তিনগর, কাকরাইল, মালিবাগ, মগবাজার ও বাড্ডা এলাকায় যানজটে আটকা থাকার এ চিত্র দেখা গেছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত গাড়িগুলোকে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
রাজধানীর পল্টনে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ অফিসগামী যাত্রী মেসকাত আহমেদ বলেন, এই শহরের যানজটে বিরক্ত হয়ে গেছি। দুই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাচ্ছি না। আর গাড়ি পেলেই বা কি হবে রাস্তা তো যানজটে বন্ধ হয়ে রয়েছে।
সদরঘাটের যাত্রী তোফায়েল বলেন, দুই দলের এসব কর্মসূচির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি মানা যায় না। চাঁদপুর যাব, লঞ্চ ছাড়বে ১২ টায়। অথচ, ৩০ মিনিটের রাস্তা পার হতে লেগেছে দুই ঘণ্টা। লঞ্চটা নিশ্চিত মিস করব।
রাজধানীর পল্টনে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ অফিসগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই শহরের যানজটে বিরক্ত হয়ে গেছি। দুই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাচ্ছি না। আর গাড়ি পেলেই বা কি হবে রাস্তা তো যানজটে বন্ধ হয়ে রয়েছে।
ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. ইমতিয়াজ বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মতিঝিল ও পল্টন এলাকায় যান চলাচল ধীরগতিতে চলছে। ফলে জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।