বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিশুদেরকে শেখ রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিতরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। শিশু শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহিদদের হত্যাকান্ডে দন্ডপ্রাপ্ত খুনীদের মধ্যে যারা বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। শেখ রাসেল আজ বিশ্বের নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত শিশুদের প্রতিচ্ছবিতে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীরা শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ ও শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে একটি আদরের নাম।
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ট পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ সেমিনার হলে আয়োজিত দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাশেম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর শহীদুল্লাহ সিকদার। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য মেজর (অবঃ) হাবিবুর রহমান মজুমদার, সংগঠনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোঃ বেলাল হোসাইন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ আতাউল্লাহ খান, মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা শেষে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।