র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, দেশের কয়েকটি স্থানে এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল অথবা দুষ্কৃতকারী বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা তৈরি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করেছিল। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে তাদের শনাক্ত করে তাদের অপচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ অক্টোবর) সকালে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশব্যাপী র্যাব ফোর্সেসের নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে কমান্ডার মঈন সাংবাদিকদের বলেন, একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল আছে যারা গুজব ছড়িয়ে পেনিক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এর আগে দেখা গেছে যে, তারা গুজব ছড়িয়ে নাশকতার চেষ্টা করেছে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তাদের র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে বিসর্জনে র্যাব বিশেষ নিরাপত্তা দেবে। নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছু করা হবে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজও করবে র্যাব।
তিনি বলেন, গত ১৬ অক্টোবর থেকে র্যাব বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি পূজা মণ্ডপে ৪ হাজারের বেশি সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। র্যাবের স্পেশাল বাহিনী, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যোগ করেন মঈন।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজায় এখন পর্যন্ত সফলভাবে র্যাব দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। দেশের প্রতিটি এলাকায় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাটালিয়নের ইউনিট প্রধানরা পূজার নিরাপত্তা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। র্যাব সদর দপ্তর থেকে এলাকাভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে। তাদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের সাইবার ইউনিট কাজ করছে।
এখন পর্যন্ত জঙ্গি বা নাশকতার হামলা নেই জানিয়ে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপতৎপরতারোধে কাজ চলছে। নারী দর্শনার্থীরা ইভটিজিং কিংবা হেনস্তার শিকার না হয় সে জন্য গোয়েন্দা নজরদারি চলমান।