অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে। এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, তাদের গাজা প্রতিনিধির স্ত্রী এবং দুই শিশু ইসরায়েলি বিমান হামলা নিহত হয়েছে।
তারা গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে এসে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে বিমান হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি ইসরায়েলি বাহিনী।
আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি ওয়ায়েল আল-দাহদুহ তার স্ত্রী আর ছেলে মেয়ের মরদেহ নিয়েই সরাসরি সম্প্রচারে যোগ দেন। আল-জাজিরা বলছে, তারা গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল যেখানে ইসরায়েলের বিমান হামলা চালানো হয়। তারা ইসরায়েলি নির্দেশনা মেনে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে চলে আসেন।
এক বিবৃতিতে আল-জাজিরা বলছে, আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক আমাদের সহকর্মী ওয়ায়েল আল-দাহদুহের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। তার পরিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে।
এদিকে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের নাসার হাসপাতাল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরের একটি তিন তলা ভবনে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বড় ধরনের বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
ওই হামলায় অন্তত ৫০ জন হতাহত হয়েছে। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়। হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ছুটে গেছে। খান ইউনিস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত এবং উত্তরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের দক্ষিণাঞ্চলেই সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এই স্থান নিরাপদ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান হামলার এক তৃতীয়াংশ এই অঞ্চলকে লক্ষ্য করেই চালানো হচ্ছে।